সবার পক্ষে কথা বলতে চাই: চিবল সাংমা
প্রকাশিত : ২০:১০, ৯ মার্চ ২০১৯
যোশীয় সাংমা (চিবল)
যোশীয় সাংমা (চিবল)। তবে পরিচিতি পেয়েছেন চিবল সাংমা নামেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানায়। জন্মলগ্ন থেকেই শারীরিক অক্ষমতার বিরুদ্ধে তাকে যুদ্ধ করতে হয়েছে প্রতিনিয়ত। তবু শারীরিক প্রতিকূলতাকে জয় করে চিবল সাংমা মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ-৪.৫ পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।
চিবল সাংমার স্বপ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার পর থেকেই সব ছাত্রছাত্রীরা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগের জন্য কোচিং করার সুযোগ পেলেও চিবল সাংমা পাননি। কেননা, আমাদের দেশের কোচিং সেন্টারগুলোতে হুইল চেয়ার নিয়ে উঠানামা করার কোনো পরিবেশ নেই, নেই সে ধরণের কোন অবকাঠামো, সহযোগিতা করারও কেউ নেই।
চিবল সাংমা জানান, "প্রথমে একটু হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরে নিজের মনের সঙ্গে বুঝাপড়া করি। মনের জোরের ক্ষেত্রে কখনও দমে যাইনি"। মনের জোর আর আত্মবিশ্বাস অটুট রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন চিবল সাংমা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর থেকে চিবল পড়ালেখার পাশাপাশি যুক্ত হয় ফিজিকাল চ্যালেঞ্জড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। এই সংগঠনের বর্তমান সহসভাপতি তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। চিবল সাংমা জগন্নাথ হলের আবাসিক ছাত্র। থাকেন ৩০২৬ নম্বর কক্ষে।
রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোর কোন পদে না থাকলেও হল/বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সে নিয়মিত থাকার চেষ্টা করেন। ছাত্রলীগের সহযোদ্ধাদের সহযোগিতা সব সময় পান তিনি। চিবল সাংমার ভাষায়, "আমার মতো শিক্ষার্থীদের পাশে হল বা বিশ্বিবদ্যালয় ছাত্রলীগ সব সময় পাশে থাকে, সাহস জোগায়।"
আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সমর্থিত (শোভন-রাব্বানী-সাদ্দাম পরিষদ) সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন চিবল সাংমা। তার ব্যালট নং- ৭১।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনের পক্ষ থেকে চিবল সাংমার কাছে জানতে চেয়েছিলাম "আপনি নির্বাচিত হলে আপনার প্রথম করণীয় কাজ কি হবে? " দৃঢ় কণ্ঠে চিবল সাংমা`র উত্তর, "শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মানসিক যন্ত্রণা কি আমি জানি, তাদের কষ্ট কি আমি জানি, তাদের আগে কি প্রয়োজন আমি জানি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে তাদের জন্য কি কি অন্তরায়, তাও জানি। সেই সমস্যাগুলো দূর করবার জন্য আমি কথা বলবো। পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আমি কথা বলবো। সর্বোপরি আমি নির্বাচিত হলে ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর ভোটেই নির্বাচিত হবো। ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর পক্ষে আমি কথা বলতে চাই।"
একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে চিবল সাংমা বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে তারা আমাকে সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের প্যানেলে রেখেছে।"
আ আ// এসএইচ/
আরও পড়ুন